তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় / সম্পাদকীয় ২০২২

ক্রিকেটের সুবিধে, আইসিসি প্রতিযোগিতার জন্য চার বছরের সুদীর্ঘ অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। একদিনের বিশ্বকাপ, টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি – মোটামুটি প্রতি বছরেই কোনও না কোনও একটা টুর্নামেন্ট হয়েই থাকে। তাই একটা ব্যর্থতা মুছে ফেলার জন্য পরের যে সুযোগটা পাওয়া জরুরি, সেটাও হাতের নাগালেই থাকে।

তবু, বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব এবং রবি শাস্ত্রীর কোচিং-এ ভারত কোনও আইসিসি ট্রফি পেল না! শেষ সুযোগ ছিল টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবং সেখানেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়। আসলে বিদায় তো প্রথম দুটি ম্যাচ শেষেই। পাকিস্তান আর নিউজিল্যান্ড — বলার মতো দুটি প্রতিপক্ষ ছিল শুরুতে। আর দুটি ম্যাচেই লজ্জাজনক হার। বাকি তিন ম্যাচ তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুধের শিশুদের বিরুদ্ধে। সাধারণত এই ম্যাচগুলো রেকর্ড গড়ে ফেলার মঞ্চ। ভারতীয়রা সেই সুযোগ ভালই কাজে লাগালেন, আসল ম্যাচদুটিতে খেলতে না-পারার জ্বালা ভুলতে।

পরের বছরই আবার একটি টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, অস্ট্রেলিয়াতে। নতুন কোচ রাহুল দ্রাবিড় আর নতুন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে নিয়ে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। আশা, ক্রিকেট ইয়ারবুকের পরের বছরে আমরা হয়ত কোনও আইসিসি ট্রফি হাতে ভারতীয় অধিনায়কের ছবি আবার ছাপতে পারব প্রচ্ছদে!

কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও ক্রিকেট যেমন বন্ধ থাকেনি, থেমে থাকেনি ক্রিকেট ইয়ারবুকের পথচলাও। গতবারের তুলনায় এবার পরিস্থিতি খানিকটা সুবিধাজনক হলেও বিধিনিষেধের ঘেরাটোপের মধ্যেই কাজ চলেছে নানা অসুবিধা ডিঙিয়েই।

ক্রিকেটের সালতামামি বাঙালি পাঠকের হাতে তুলে দিতে আমরা এবারও ধরে রাখতে চেয়েছি আমাদের গত তেইশ বছরের ধারাবাহিকতা। কারণ, ক্রিকেটের পর এই বইতে যা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে, ক্রিকেটপাঠকের চাহিদা। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই সাজানো এবারের ইয়ারবুকের সূচিও, বরাবরের মতোই। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, মাস্ক পরুন এবং অবশ্যই ক্রিকেটে থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *